একটা নদীর চর জেগেছে, নদীর মনে স্বপ্ন ভরা,
জলের উপর ভাটার সময় ঐ দেখা যায় নদীর চরা!
জোয়ার যখন উজান গাঙে ডুবিয়ে রাখে মনের আশা,
নদীর চরে তখন জল পাখির চলে ভালোবাসা।
এমনি করেই কালের স্রোতে ভাটির টানে পলির দেশে,
জোয়ার এলেও সে চর জাগে, কীসের জন্য অবশেষে?
বাতাস সেথায় জলের সাথেই আনলো সবুজ বীজের রাশি,
চরার মাটি স্বপ্ন দেখে অনেক প্রাণের অনেক হাসি;
কাশের ঢেউয়ে শরৎ এল, হেমন্ত আর শীতে পাখি,
চরার মাটি উচ্ছলতায় ভেবেই সারা হচ্ছে দেখি।
দিব্যি ছিল জীবনগুলো, চরার যদি জীবন থাকে,
বলছিলাম যে স্বপ্ন কথা, ভেবেই মরে, কোথায় রাখে?
এক যে আছে বাঁশিওয়ালা বাঁশের বনে বাঁশি নিয়ে,
অদৃষ্ট শুনেছি নাম, পোড়ায় কপাল নজর দিয়ে।
বর্ষা পরে তার হাত ধরে আসলো এমন জলের বোঝা,
স্বপ্ন মাখা নদীর মাঝে চরের বুকে বিঁধলো সোজা!
ঘোলা জলের হড়কা স্রোতে শিকড় হারা সে চর খানি,
পাখপাখালি, কাশ আর গাছের বাস্তুহারা এই কাহিনী।
এখন সেথায় জলের কোলে উজান কিম্বা ভাটির পরে,
সে চর শুধুই স্মৃতির পাতায় , পুরনো বই-খাতার ঘরে।
গল্প আমার অনেক হল, এবার তবে টানছি দাঁড়ি,
নতুন চরের গল্প পেলে বোলো আমায়, তাড়াতাড়ি।
ঝন্টুকাকার হঠাৎ করে খেয়াল এল টাকের তলায়,গ্লাসের জলের উপরটুকু উনি …