কবিতা

ভাঁটফুলের দেশে

রাতের আঁধারে একা দেখেছো কী তুমি-কোটি কোটি তারা জেগে রয়, খোলা আকাশের বুক চুমি, ছায়াপথ জুড়ে,মুঠো মুঠো ভাঁটফুল ফুটে আছে বুঝি-যে পথে যাইনি আমি, যে পথের বুকে তবু খুঁজি, সুখ আছে ভাবি থরে থরে;কাছের মানুষ যারা সময়ের কোলে -;আমাকে একলা ফেলে, একদিন জানিনা কীসের তরে গিয়েছিল চলে, না ফেরার দেশে,সেখানে রয়েছে তারা, সেই ছায়াপথে-আমি জেগে রই একা, বুক ভরা আঁধারের সাথে, চেয়ে দেখি তাদেরকে ভাঁটফুল বেশে;রাত আসে রাত যায়, জানি একা একা-চোখ চেয়ে একলা সে দেখা, সেও বুঝি একদিন মেলে দেবে পাখা, ঠাঁই পাব ঐ ভাঁটফুলে,খসে পড়া তারা ফিরে যাবে মহাকাশে-একদিন, তুমি জানো, রয়ে গেছি পৃথিবীর বুকে আমি সব শেষে, শুধু ভালোবেসে;আমাকেও খুঁজো চেয়ে ছায়াপথে, তারাদের কোলে।

ভাঁটফুলের দেশে Read More »

হারানো চর

একটা নদীর চর জেগেছে, নদীর মনে স্বপ্ন ভরা,জলের উপর ভাটার সময় ঐ দেখা যায় নদীর চরা!জোয়ার যখন উজান গাঙে ডুবিয়ে রাখে মনের আশা,নদীর চরে তখন জল পাখির চলে ভালোবাসা।এমনি করেই কালের স্রোতে ভাটির টানে পলির দেশে,জোয়ার এলেও সে চর জাগে, কীসের জন্য অবশেষে?বাতাস সেথায় জলের সাথেই আনলো সবুজ বীজের রাশি,চরার মাটি স্বপ্ন দেখে অনেক প্রাণের অনেক হাসি;কাশের ঢেউয়ে শরৎ এল, হেমন্ত আর শীতে পাখি,চরার মাটি উচ্ছলতায় ভেবেই সারা হচ্ছে দেখি।দিব্যি ছিল জীবনগুলো, চরার যদি জীবন থাকে,বলছিলাম যে স্বপ্ন কথা, ভেবেই মরে, কোথায় রাখে?এক যে আছে বাঁশিওয়ালা বাঁশের বনে বাঁশি নিয়ে,অদৃষ্ট শুনেছি নাম, পোড়ায় কপাল নজর দিয়ে।বর্ষা পরে তার হাত ধরে আসলো এমন জলের বোঝা,স্বপ্ন মাখা নদীর মাঝে চরের বুকে বিঁধলো সোজা!ঘোলা জলের হড়কা স্রোতে শিকড় হারা সে চর খানি,পাখপাখালি, কাশ আর গাছের বাস্তুহারা এই কাহিনী।এখন সেথায় জলের কোলে উজান কিম্বা ভাটির পরে,সে চর শুধুই স্মৃতির পাতায় , পুরনো বই-খাতার ঘরে।গল্প আমার অনেক হল, এবার তবে টানছি দাঁড়ি,নতুন চরের গল্প পেলে বোলো আমায়, তাড়াতাড়ি।

হারানো চর Read More »

ছাই

মৃত্যুর পরে নতুন জন্ম থাকে; ধর্ম বলেছে পরজন্মের কথা,ধর্ম না মেনে বিধর্মী লোকে হলে, সেখানেও কি মেলে পরজন্মের দেখা? তাই যদি হয় ধর্ম বা বিধর্মী, কোনোকিছুতেই আগ্রহ নেই মনে,একটা জন্ম এতেই আমি তো খুশি, দু চারটে কথা বলি যদি কেউ শোনে! প্রাসাদ গড়েছে অর্থ অথবা মোহে , আকাশ ছুঁয়েছে গর্বিত যার বোলে,পৃথিবীর পরে চরণ দাপিয়ে রেখে, সে কী সত্যিই ফিরবে ধরণী কোলে? পাথর ভেঙেছে, জন্ম নিয়েছে ধুলো ; বাতাস আগুন জলের ছোঁয়াতে এসে,সে পাথর কী ঘুমে ভেবেছিল তার মনে, বিলীন হবে সে এইভাবে ভেসে ভেসে? তোমার আমার বাঁচা শুধু একবারই; মরাটাও জেনো একবারই লেখা বাকি,তাহলে ওসব পরজন্মের ফুলো কথা, এইবেলা ছাড়ি, পথেতে দুটো পা রাখি। চলো হাঁটি ধরে হাতে দুই হাত রেখে, দুয়ে দুয়ে চার, চারে চারে হই ষোলো,যোগ আর গুণেতে সাজিয়ে মনের তরী, বিয়োগ ভাগের ঘাট ছেড়ে যাই চলো। সাফল্য পেলে গর্ব যেখানে মেশে, দুচোখে যতই বিজ্ঞ ভাবছো তাকে,এমন কিছু কী চিহ্ন রেখেছো পথে , যাতে অচেনা লোকটা তোমাকে টানবে বুকে? প্রশ্ন অনেক জমেছে মনের কোণে, অধিকাংশই বলবে জানি এ বোকা,ভোগ সুখ আর ফুর্তি ছেড়ে যে কেন, অসুখ বাঁধাবে, বেকার সঙ্গে থাকা! সূর্য কেবলই দিনের আকাশে ওঠে, চাঁদ তারা এরা রাত দিন জেগে থাকে,গর্বিত রবি কখনো জেনেছে সে কী, বৃথাই ফুরায় ওদেরকে ঢেকে ঢেকে? একটা জীবন, পরজন্মেতে ছাই, বুঝতে চাইলে এসো একদিন সাথে,অগাধ সময় আমার জীবনে আজ, এই হাত ধরে হাঁটি নিখোঁজের পথে। নদীর পাড়েতে বুড়ো বট তলে পোড়া, এক মুঠো ছাই, বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে,দেখো চেয়ে দূরে মাটির বুকেতে নেমে, হারিয়ে যাবে সে, আমাকে তোমাকে নিয়ে।

ছাই Read More »

বৃথা আশা

আমি হেরেছি অনেকবার,বিশ্বাস করো এই হাতখানা হাতেতে নিয়েছি যার,এই বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে, এই মন প্রাণ সবটুকু দিয়ে,অবহেলা ঘৃণা সবটুকু সয়ে, তারই হাতে সংহার!আমি হেরেছি সেই আবার। আমি সয়েছি অনেক দুখ,মানো কী না মানো তারই মাঝে আমি খুঁজেছি টুকরো সুখ,দুই চোখ হলে অশ্রুসজল, মন ঢেকে কথা হেসেছি অতল,ধরেও ধরিনি কী বা তার ছল, কত ব্যথা সয় এ বুক!আমি দুখেই মেনেছি সুখ। আমি ভুলেছি ফেরার পথ,সারথি বিহীন সপ্ত অশ্ব ভেঙেছে সাধের রথ,মহাবিশ্বের গোলকধাঁধায়, সূর্য চন্দ্র গ্রহ বা তারায়,ক্ষুদ্র জীবন কীভাবে হারায়, হেলায় হারে শপথ,আমি পাইনি ফেরার পথ। তবু স্বপ্ন আসে যে আজ,এই পোড়া মনে অজানা কারণে কেন জাগে রাঙা সাজ?রূপকথা যদি ফিরে আসে পাশে, ফিনিক্স আবার চোখ মেলে হাসে,বিস্তৃত ডানা ছড়ায় আকাশে, শেষবার পরে তাজ!তাই জেগে আছি আমি আজ!শুধু সেরে যেতে শেষ কাজ।

বৃথা আশা Read More »

জীবন্ত বিগ্রহ

তার চোখে আমি স্বপ্ন খুঁজেছি, চোখের পাতায় জল-দুই হাতে তাকে বুকেতে নিয়েছি, হারিয়ে শৈত্য ছল;ধুলো মাটি ছেড়ে এই হাত ধরে উঠতে দেখেছি রোজ,সবটুকু আশা, ব্যথা ও ভরসা, সেই রেখেছিল খোঁজ!ঝড় উঠেছিল, বর্ষার সাথে বিজলী এসেছে নেমে,তার দুটি পায় এ ছত্রছায় তবুও থাকেনি থেমে;দিন গিয়ে রাত এসেছে আবার, রাত শেষ হয়ে দিন,চরাচর মাঝে এ দুই জীবনে জমেছে অনেক ঋণ,তবু এ হিসাব এবং কিতাব, তুচ্ছ করেছে মন,আমি টানি রথ, বিগ্রহ সম , ভালোবাসা, ছোট বোন।

জীবন্ত বিগ্রহ Read More »

জানতে চেয়ে

প্রেমিক হতে মন পাগলামি চায়,নাকি পাগলেই প্রেম হয়ে যায় , চিন্তা করেছো আগে?জানতে চেয়েছো কি কখনো এ জীবনে কেনই বা প্রেম জাগে?সাগরের ঢেউ মনে নিতে চেয়ে,আর পাহাড়ের জলও ঐ বুকে নিয়ে, নদী কি বলেছে এসে?জেনেছো কি কিসে ভিজিছে চোখ, দুপাড়ের মাটি, প্রেম-শোক-ভালোবেসে?ঘন নীল পটে আল্পনা এঁকে,নাকি নীল বিষে ক্ষত ঢেকে রেখে , মেঘ কি বলেছে কথা?শুনেছো কি তুমি জলধারা হয়ে ঝরে, কেন সে ফুরায় একা?তুমি কি কখনো এসব ভেবেছো নিজে,মেলেনি যা কিছু হিসাব তোমার খুঁজে, রাখোনি হৃদয়ে স্মৃতি,আরেকটিবার খুলে দেখো সেই পাতা, প্রেম – নদী – মেঘ, আরও যা যা আছে চারপাশে, ইতিউতি।

জানতে চেয়ে Read More »

একদিন

একদিন নিভে যাবে দিনের আকাশ, একদিন থেমে যাবে নতুন সকাল,একদিন নেমে এসে রাতের আঁধারে, শিকড় বিছিয়ে নেবে অকাল পাতাল,একদিন চোখ মেলে নতুন কুঁড়ি, সূর্য পাবেনা বুঝে ঢেকে নেবে মুখ,একদিন পাতা ঝরা সব শেষ হবে, মহীরুহ জানবে না জীবনের সুখ,একদিন নীল বিষ রঙহীন হবে, অমৃত রঙহারা সাজ নেবে কালো,একদিন হিংসাও লাল ছাড়া হবে, প্রেমও হারাবে ঠিক সবুজের আলো,একদিন জানবো না হয়তো বা আমি,শিশির বা শিউলির ঝরবে কে শেষে,সেইদিন হয়তো বা অসীম কালোয়,হারিয়ে রইবো আমি তারি সাথে মিশে।

একদিন Read More »

বর্ষা ঝরা মনে

পথের বাঁকের ধারে , অচীনপুরের পরে , বিরাট দীঘির কাজল কালো জলে,আজকে সকাল বেলা,জ্যষ্টি ভাসায় ভেলা, বর্ষা এল অঝোর ডানা মেলে;পাড়ার যত ছেলে, সমস্ত কাজ ফেলে, দেখি হৈ হৈ করে ঝাঁপায় দীঘির কোলে,হারিয়ে যাওয়া গানে, আমার এ মন প্রাণে, কেন জলছবি এক আকুল ঢেউয়ে দোলে? শুকনো মাটির বুকে , বৃষ্টি আসে ঝেঁপে, যেন পিয়াস মেটায় প্রথম প্রেমে পিয়া,রুক্ষ মনের জমি , সিক্ত হল চুমি, এক মেঘ বালিকার সজল লাজুক হিয়া;শীতল বাতাস আসে , পুবের থেকে ভেসে, তাল সুপারি দুলছে শিখায় দিয়াযেমন কাঁপে সাঁঝে, আমার মনের মাঝে, কেন এলোমেলো সকল স্মৃতির খেয়া? জীবন পথের বাঁকে, দুঃখ সুখের শাখে, স্বপ্ন দেখার বিহঙ্গদের নীড়ে,উঁকি দিতেই দেখি, রয়েছে সব ঠিকই , দোয়াত কালি তেমনি আছে পড়ে;ছেলেবেলার খুশি, অনেক রাশি রাশি, কতো ছবি তুল্য সম হীরে,চোখের মণির পরে, আজ ঝাপসা হয়ে ঝরে, একলা আমি, গেছে বর্ষা ফিরে ফিরে। আজ ইচ্ছে মনের দ্বারে , ভিড়বো জীবন পাড়ে , বৃষ্টি ভেজা আমার অচীনপুরে।

বর্ষা ঝরা মনে Read More »

উত্তরণ

একটা মেয়ে ভাবছে বসে গালেতে হাত, হজমোলা –কেমিস্ট্রি বই লিখলো না তো এটার কোনো ফর্মুলা?ইতিহাসের পাতায় যেসব রাজারা আজ বছর ভর,দখল নিয়ে আটকে আছে, স্যার বলে না তাদের সর?কিম্বা ধরো ফিজিক্স মাঝে তিনটে মোটে লিভার কল,কেউ বলে না চার নম্বর কে বানাবি তোরাই বল?পৃথিবীটা হেলেই আছে ডিগ্রী সাড়ে ছেষট্টি,ভূগোল কেন এমনটা আর সিধে হলেই কি দোষটি?কে সি নাগের তেলের বাঁশে বাঁদর কেন উঠবে রোজ?ঐ বাঁশে তেল কতো লাগে কেউ রাখে কি অঙ্ক খোঁজ?বাংলা বইয়ে মধু কবির জটিল জটিল শব্দ আজ,কি প্রয়োজন? সুকুমার আর শক্তি দিয়েই মিটলে কাজ?ইংরেজিটা শেক্সপিয়ারের বড্ড কঠিন, সাহেব চাই?রাসকিন বন্ড দিব্যি আছেন, হাত বাড়ালেই তাঁকেই পাই।এসব নিয়েই ভাবতে ভাবতে আজকে হঠাৎ এই মেয়ে,খামের ভিতর রাখলো চিঠি লিখলো যেটা মন দিয়ে।কিন্তু এবার সমস্যাটা বেজায় কঠিন, কি মুশকিল,কোন ঠিকানায় চিঠি যাবে? প্রশ্নতে কে মারবে সিল?কার কাছেতে আছে খবর? কোথায় থাকে কোন সে জন?বদ্ধ কুঁয়োর গন্ডি ভেঙে হবে কি আর উত্তরণ?ইস্কুলটা যদি হতো খোলা আকাশ, সবুজ মাঠ,নতুন কোনো রবি ঠাকুর লিখতো আবার সহজ পাঠ!এসব ভেবেই এই মেয়ে কি আলোর খোঁজে বাঁধছে বুক?তাই যদি হয় স্বপ্ন দেখো আসবে সুদিন, প্রাণের সুখ।

উত্তরণ Read More »

হুইল চেয়ার

একটা চেয়ারে বসেছিলাম বেশ খানিকটা সময়। শুধুই অপেক্ষায়। সোজা শিরদাঁড়া, বসে বসে সেও বেঁকে হল সারা। বাতানুকুলীন ঘর, সে বাতাসে ছিল না গুমোট। অথবা কেউ বলেনি এসে ‘তু্ই এইবারে ওঠ’। বেশ কিছু জন, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ এসেছিল হাতে নিয়ে, তাদের আপ্যায়ন আমি দিয়েছি ফিরিয়ে। বিক্ষিপ্ত আমার মন এবং মেজাজ, কি যে চায় কি না চায় বোঝা দায় আজ। মুহূর্তরাও যেন বিছিয়ে শিকড়, চূড়ান্ত স্থিতিশীল তারা, নেই নড়চড়। আমি নিজে জানি এ ক্ষণ ঠিকই ফুরাবে। আসবার কথা ছিল যার সেও এসে সামনে দাঁড়াবে। হয়তো বা হাসি মুখে বলবে সে,’চল, যাওয়া যাক।’ এও জানি মৃদু হেসে আমি পিছু নেব, যেন হইনি অবাক। শুধুই তো ছিলাম বসে খানিকটা সময়। লুকিয়ে ফেলবো ঠিকই এ অপেক্ষা যা জন্ম দিল – ক্ষোভ, বিরক্তি। কিন্তু ভয়? সে কিভাবে জন্মায়? ঠিক তখনি এদিকে, পাশ ফিরে চোখের কোণায় আমি দেখে ফেলি তাকে। অথর্ব নিশ্চুপ এক সাদা চুল বুড়ি, বোঝা দায় বয়সটা পেরিয়ে এল যোগ করে কতো গুলো কুড়ি। মাথা কাত, চোখ ঘোলা, একা একা হুইল চেয়ারে, ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে জীবনের ভাঙা তীরে। কে বা কারা যেন এসে তাকে রেখে গেছে চলে, ইচ্ছে বা অনিচ্ছে , কার বেশি কে বা জানে, বিস্মৃতি চোরা স্রোতে সব গেছে ভুলে। শুনলাম ভেসে আসা কথা দুই চার, আমারও আসার আগে বুড়ি এসে নিয়েছে নাকি এমনই অপেক্ষার অধিকার। হাতে পায়ে জোর ছিল বটে তবু শিরদাঁড়া নিজেই করেছি আমি বাঁকা। মনটাকে পাল্টালে হয়তো যেতাম চলে, অপেক্ষা ‘অহেতুক’ জেনেও আছি বৃথা একা। কিন্তু এখানে, সহসা বয়স বেড়ে দ্রুত, দেখি হু হু করে নিয়ে এল আমাকেও এ বুড়ির সমানে সমানে। সাদা মুখ, শূন্য চোখ, শুষ্ক ওষ্ঠ বেয়ে চুলের রেখাতে , হাহাকার ঝরে পড়ে যার সে নিজেই বোধশক্তি হারিয়েছে হয়তো আঘাতে আঘাতে। তবে আর কিবা সুখ, বিরক্তি, ক্ষোভ বা দুখ, মনে এল সব বাহুল্য, সবই অপচয়। শরীর খোলস ছেড়ে এ প্রাণের অবসরে এভাবেই তবে নেবে কি বিদায় ? যেই ভাবা অমনি আমার, নগন্য অপেক্ষার জন্য যত অভিযোগ, মনের গভীরে ছিল উড়ে গেল ফুৎকারে রইলো না কোনো অনুযোগ। তেমনি দাঁড়িয়ে আমি সেই স্থানে আর আমার সামনে থাকা হুইল চেয়ারে, চোখ কচলিয়ে দেখি বুড়ি নেই, আমার আকারটা শুধু কাত হয়ে আছে সেরকমই পড়ে।

হুইল চেয়ার Read More »

error: Content is protected !!
Scroll to Top