দ্বিতীয় সুখ
এক একটা দিনে, সময় চলতো পথ আমার এ জীবনেতে ক্ষণ গুনে গুনে,কষ্টরা বুকে, কুরে কুরে খেয়ে যেত হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় চিনে চিনে,চাপ ধরা শ্বাস, ভুলে যেত আসা যাওয়া গায়ে মেখে নোনা ধরা বাস,উঁইয়ের ঢিবির মতো ধীরে ধীরে ঝুরঝুরে হতো এই মনে থাকা সব আশ্বাস;মনে হতো আলো , যেটুকু সামনে এলো চোখে এসে পুরোপুরি নিভলেই ভালো,চোখের তারায়, যা কিছু জমেছে এসে সব যেন নিমেষেই হয় পুড়ে কালো;মরণের জ্বালা , কেন যে মানুষ হয়ে বেঁচে বয়ে এ জীবনে চলা-হোক সব শেষ, চিতা বা মাটির নীচে কী বা যায় আসে, বৃথা সব বলা,এ পৃথিবীর সাথে, ফুরিয়ে গিয়েছে দিন হাতে হাত পা ফেলার পথে,জানি না কী ভাবে , এভাবেও জীবনকে ভালোবেসে তারই পিছে বয়ে যেতে যেতে-নতুন এ বেলা, উপলব্ধির ডালি খুলে বসে আমি আজ সাজাই এ মালা;বুঝিনি আগে, কিছু প্রাণ কিছু মনে আমিও যে এঁকে গেছি আবেগের খেলা-সে হৃদয়রা ছুঁয়ে, পুড়ে যাওয়া পৃথিবীর রূপগুলো সবুজের রঙে যাবে ধুয়ে,আমার এ মনে, যাদের চোখের আলো অবশেষে ভালোবেসে নিয়েছি যে সয়ে,আজ তাদেরই তরে, অনন্ত বাঁচার ইচ্ছে কেন জানি ঝড় হয়ে আছড়িয়ে পড়ে,শিকড়ে শিকড়ে , সে চাওয়াই নিজেকে ছড়িয়ে দিয়ে মাটিকেই আঁকড়িয়ে ধরে।অশ্বথ ছায়া হয়ে থাকে , আমিও তেমনি হব এ আশাই অকাতরে জমা হয় বুকে,শুধু ভাবি রয়ে যাব হাজার বছর , আর ফল্গুর বুকে ঢেউ বান হয়ে ভেসে যাক পদ্মার সুখে।