ঝন্টুকাকার হঠাৎ করে খেয়াল এল টাকের তলায়,
গ্লাসের জলের উপরটুকু উনি খাবেন শেষের বেলায়
রাতের পরে বিনিদ্র রাত চিন্তা যখন এলোমেলো,
বুদ্ধি এল মাথার ভিতর, গ্লাস হল সব ফানেলগুলো।
ব্যাঁকা দাদা সেদিন হঠাৎ সকালবেলায় ভীষণ ভেবে,
খালি পেটে বিষম খেয়ে দাঁত খিঁচিয়ে উঠলো রেগে,
সূর্য কেন সারাটা দিন মাথার পরেই ঢালবে আলো?
ব্যাঁকাদা তাই খালি পায়ে শীর্ষাসনেই দিন কাটালো।
ন্যাবা জেঠু খুবই কুঁড়ে কিন্তু ঘোরার দারুণ নেশা,
গাধা ঘোড়ার চড়ার খরচ জেঠুর কাছে সর্বনাশা,
অনেক হিসেব কষে শেষে রাজ্যে যত নাগরদোলায়,
ন্যাবা জেঠুর আগাম বুকিং ঘোরার নেশা বগলদাবায়।
সিংগীমামার ব্যাপক খিদে ঘন্টা গেলেই মোচড় মারে,
পন্ডিতেরা বলেন শুনে এতো খেয়েই মানুষ মরে!
প্রাণের মায়া বড়ই মায়া খাটিয়ে মাথা মামা এখন,
দুই হোটেলের মাঝেই থাকেন , ডাবল গন্ধে পূর্ণ ভোজন।
এদের উপরে ছিল আমার ঠাকুরদা আর দাদুর সারি,
এবং ছিলেন ঠাকুমা আর দিদিমাদের মতন নারী,
তাঁদের নানা চিন্তা এমন ঘুরতো মাথায় দিনে রাতে,
সমাধানের বিচিত্র ঐ উপায়গুলোও বইতো সাথে।
সেই বংশের ঝাড়ে আমি জন্ম নিলাম ভাগ্যগুণে,
চিন্তা করার বাতিকরা তাই প্রথম থেকেই আমার জিনে,
আধখ্যাচড়া চিন্তা শুধুই, উপচে পড়া চিন্তা মাথায়,
ভাবছি আমার রাবণ মাথার বাকি ন’টা মিলবে কোথায়?