মৃত্যুর পরে নতুন জন্ম থাকে; ধর্ম বলেছে পরজন্মের কথা,
ধর্ম না মেনে বিধর্মী লোকে হলে, সেখানেও কি মেলে পরজন্মের দেখা?
তাই যদি হয় ধর্ম বা বিধর্মী, কোনোকিছুতেই আগ্রহ নেই মনে,
একটা জন্ম এতেই আমি তো খুশি, দু চারটে কথা বলি যদি কেউ শোনে!
প্রাসাদ গড়েছে অর্থ অথবা মোহে , আকাশ ছুঁয়েছে গর্বিত যার বোলে,
পৃথিবীর পরে চরণ দাপিয়ে রেখে, সে কী সত্যিই ফিরবে ধরণী কোলে?
পাথর ভেঙেছে, জন্ম নিয়েছে ধুলো ; বাতাস আগুন জলের ছোঁয়াতে এসে,
সে পাথর কী ঘুমে ভেবেছিল তার মনে, বিলীন হবে সে এইভাবে ভেসে ভেসে?
তোমার আমার বাঁচা শুধু একবারই; মরাটাও জেনো একবারই লেখা বাকি,
তাহলে ওসব পরজন্মের ফুলো কথা, এইবেলা ছাড়ি, পথেতে দুটো পা রাখি।
চলো হাঁটি ধরে হাতে দুই হাত রেখে, দুয়ে দুয়ে চার, চারে চারে হই ষোলো,
যোগ আর গুণেতে সাজিয়ে মনের তরী, বিয়োগ ভাগের ঘাট ছেড়ে যাই চলো।
সাফল্য পেলে গর্ব যেখানে মেশে, দুচোখে যতই বিজ্ঞ ভাবছো তাকে,
এমন কিছু কী চিহ্ন রেখেছো পথে , যাতে অচেনা লোকটা তোমাকে টানবে বুকে?
প্রশ্ন অনেক জমেছে মনের কোণে, অধিকাংশই বলবে জানি এ বোকা,
ভোগ সুখ আর ফুর্তি ছেড়ে যে কেন, অসুখ বাঁধাবে, বেকার সঙ্গে থাকা!
সূর্য কেবলই দিনের আকাশে ওঠে, চাঁদ তারা এরা রাত দিন জেগে থাকে,
গর্বিত রবি কখনো জেনেছে সে কী, বৃথাই ফুরায় ওদেরকে ঢেকে ঢেকে?
একটা জীবন, পরজন্মেতে ছাই, বুঝতে চাইলে এসো একদিন সাথে,
অগাধ সময় আমার জীবনে আজ, এই হাত ধরে হাঁটি নিখোঁজের পথে।
নদীর পাড়েতে বুড়ো বট তলে পোড়া, এক মুঠো ছাই, বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে,
দেখো চেয়ে দূরে মাটির বুকেতে নেমে, হারিয়ে যাবে সে, আমাকে তোমাকে নিয়ে।